বাংলাদেশের
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারত কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানী দিল্লিতে রাজীব সিক্রির লেখা ‘স্ট্র্যাটেজিক কনড্রামস: রিশেপিং ইন্ডিয়াস ফরেন পলিসি’বই প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, তার সঙ্গেই আমরা আলোচনা করব, এটাই স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, সবাই অবগত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে। স্বীকার করতে হবে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন রয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন অনেক সময় অপ্রত্যাশিতভাবে হয়। এখানে অবশ্যই আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়টা দেখতে হবে।দ
এর আগে গত ১৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ হয়েছে। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফোনালাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ তারা ভারতেই অবস্থান করছেন।
১৪ জুলাই পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও ক্যাম্পাসের ভেতরে সীমিত। কিন্তু যখন ছাত্রলীগ পাল্টা কর্মসূচি নেয়, তখনই সংঘাত শুরু হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিলেন, ‘আন্দোলনকারীদের মোকাবিলায় ছাত্রলীগই যথেষ্ট।’ এভাবে কোটা ও মেধার পক্ষ–বিপক্ষ তৈরি করা হলো। এমনকি মঙ্গলবার সংঘর্ষে ছয়জন মারা যাওয়ার পরও সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এল না। সরকারের মনোভাবটা ছিল এমন যে ধমক দিয়ে শিক্ষকদের মতো শিক্ষার্থীদেরও ঠান্ডা করা যাবে।

কিন্তু শক্তিবলে যে তারুণ্যের বিদ্রোহ দমন করা যায় না, সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা যখন বুঝলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। দুই দিন আগে মন্ত্রীরা আলোচনার প্রস্তাব দিলে হয়তো রাষ্ট্রকে এতটা ক্ষতি ও ধ্বংসের শিকার হতে হতো না। এত মানুষকে জীবন দিতে হতো না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে এত শক্তি প্রয়োগ করতে হতো না।

/এমএইচআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *